মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন
মোংলা প্রতিনিধিঃ সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় শুনানীতে অনুমতি না নিয়ে উপস্থিত থাকায় মোংলা উপজেলায় ৩০ জন প্রথামিক স্কুলের শিক্ষককে কারন দর্শানা নোটিশ দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। এ ঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। তবে শিক্ষকদের দাবী যতা যথ নিয়ম মেনেই তারা শুনানী অনুষ্ঠানে উপস্তিত হয়েছে।
মোংলা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন্ত কুমার পোদ্দার জানান, উত্তর বাশতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেব কুমার মন্ডল ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পুস্পজিৎ মন্ডলের সাথে ১০ জানুয়ারী দুপুরে উপজেলা শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে এক অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শুনানীর জন্য ১৪ জানুয়ারী মোংলা উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার ও নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম, এবং অভিযুক্ত শিক্ষক দেব কুমার মন্ডল ও সহকারী শিক্ষা অফিসার পুস্পজিৎ মন্ডলকে নিয়ে শুনানী বৈঠকে প্রায় ৩০ জন শিক্ষক উপস্থিত হন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে শুনানী সভায় উপস্থিত হওয়ায় কেনো ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবেনা তার কারন যানতে চেয়ে ওই সকল শিক্ষককে কারন দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। এ শিক্ষা কর্মকর্তা দাবি করেন, তাদের শুনানী অথবা মিমাংশা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া সরকারী কর্মচারী শৃঙ্খলা বিধির সস্পুর্ন পরিপন্থি। এদিকে কারন দর্শানোর নোটিশ পাওয়া শিক্ষকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কারন দর্শানো নোটিশ পাওয়া এক সহকারী শিক্ষক জানান, কর্মকর্তাদের দন্দের জেরে আমরা বিপদে পরতে যাচ্ছি। তাই নিরাপরাদ হয়েও আমাদেরকে বিচারের মুখোমুখী হতে হচ্ছে। অপরদিকে কারন দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ৩০ জন শিক্ষক তাদের জবাব নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিল করেছেন শিক্ষা অফিস দপ্তরে। তবে সহকারী শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্চিতকারী উত্তর বাশতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেব কুমার মন্ডলকে এখনও কারন দর্শানো নোটিশের জবাব দাখিল করেননি। কি কারনে তিনি দাকিল করেননী তা জানতে প্রধান শিক্ষকের ০১৭২৭০১৮২১৩ নাম্বরের মোবাইলে ফোনে বার বার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ করেননি। কারন দর্শানোর নোটিশের জবাব আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাখিল না করলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন্ত কুমার পোদ্দার। এদিকে শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্চিত ও অবরুদ্ধ করার ঘটনা প্রমানীত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক দেব কুমারকে বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য ১৪ জানুয়ারী সুপারিশ করেন উপজেলা প্রসাশন।